লখনউ: প্রয়াগরাজে (Prayaraj) অমৃত স্নানের (Amrita schan) প্রথম দিনেই নিখোঁজ ২৫০’র বেশি পুণ্যার্থী। স্বজনকে খুঁজে পেতে ‘ভুলা ভটকা’ (‘Bhula-Bhatka) ও ‘খোয়া-পায়া’ (‘Khoya-Paya’) শিবিরের সামনে ভিড়।
সবার চোখে মুখে আতঙ্ক। তবে নিরাশ করেনি প্রশাসন, প্রায় দেড়ঘণ্টার মধ্যেই তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বজনকে ফিরে পেতেই প্রশাসনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন তারা।
কুম্ভমেলায় (Mahakumbh) হারিয়ে যাওয়া নতুন কোনও কথা কথা নয়। এই পরিস্থিতির জন্য যোগী সরকার নিখোঁজ অনুসন্ধানের ক্যাম্প খুলেছেন। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভুলা ভটকা’ ক্যাম্প। কেউ হারিয়ে গেলে ভক্তরা সেখানে গিয়ে তাদের অভিযোগ জানাতে পারবে। এছাড়াও রয়েছে ‘খোয়া-পায়া’। এই ক্যাম্পটি মহিলা ও নিখোঁজ শিশুদের উদ্ধারে সহায়তা করছে। এই মাধ্যমটি সোশ্যাল মিডিয়া সহ ডিজিটালি কাজ করছে।
আরও পড়ুন: মকর সংক্রান্তির প্রথম দিনে মহাকুম্ভে পুণ্যস্নান সারলেন ১০০ লক্ষের বেশি পুণ্যার্থী
কয়েক কোটি পুণ্যার্থীর সমাগম হয়েছে এবার মহাকুম্ভে। আজ ছিল মকর সংক্রান্তির অমৃত স্নান। সেই পবিত্র স্নানে এসে পরিবার থেকে আলাদা হয়ে গেছে প্রায় ২৫০’র বেশি মানুষ। পুলিশ জানিয়েছে, সেই সমস্ত হারানো মানুষগুলিকে তাদের পরিবারের কাছে নিরাপদে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রতিটি ঘাটেই লাগানো হয়েছে লাউড স্পিকার। সেখানে অনবরত হারিয়ে যাওয়া মানুষটি নাম ঘোষণা করা হচ্ছে। আর পরিবারের লোককে তাদের সঙ্গে এসে দেখা করতে বলা হচ্ছে। সক্রিয়ভাবে পুণ্যার্থীদের সহযোগিতা করে চলেছে পুলিশ ও বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনী।
উত্তরপ্রদেশ সিভিল ডিফেন্সের একজন ওয়ার্ডেন নীতেশ কুমার দ্বিবেদী জানিয়েছেন, প্রথম দিন থেকেই ব্যাপক তৎপরতার সঙ্গে কাজ হচ্ছে।
বিভাগ ও মেলা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে শত শত নিখোঁজ হওয়া মানুষকে তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
প্রথম দেড় ঘণ্টার মধ্যে, আমাদের সিভিল ডিফেন্স দলগুলি প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ জনকে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিতে দিতে সক্ষম হয়েছে।
দেখুন অন্য খবর: